সভাপতি (জেলা প্রশাসক ) মহোদয়ের বার্তা
শিক্ষাই জাতির প্রকৃত পথনির্দেশক, উন্নয়ন আর আলোকিত ভবিষ্যতের একমাত্র সোপান। এ লক্ষ্যেই আমাদের বিদ্যালয়টি ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে এলাকার কয়েকজন দূরদর্শী ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এম.ই স্কুল হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন থেকেই এই প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র শিক্ষার আলো বিতরণে নয়, বরং একটি আলোকিত সমাজ গঠনে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে উঠেছে।
কালের পরিক্রমায় নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিদ্যালয়টি ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন লাভ করে এবং ১৯৪২ সালে প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয় ও গৌরবের সূচনা করে। ১৯৭০ সালে সরকারিকরণের মাধ্যমে এ বিদ্যালয় নতুন প্রাণ পায়, সম্প্রসারিত হয় এর কার্যক্রম এবং শিক্ষার পরিধি।
এই বিদ্যালয় শুধু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলেনি, বরং দেশ ও জাতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বদানকারী অসংখ্য গুণীজন, আলোকিত মানুষ এবং সফল নাগরিক উপহার দিয়েছে। গর্বের সঙ্গে স্মরণ করি, ১৯৮২ সালে এই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্যে সর্বপ্রথম স্থান অর্জন করে এবং ২০০৩ সালে জাতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করে, সম্মানিত হয় মহামান্য রাষ্ট্রপতির পদকে।
২০১১ সালে ডাবল শিফট চালু হওয়ায় প্রতি বছর প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় আলোকিত করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। পাশের হার শুরু থেকেই প্রায় ১০০% এবং একাডেমিক অর্জনের পাশাপাশি চরিত্র গঠনের দিকেও এই প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত যত্নবান।
আজকের প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে একটি বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট শুধু তথ্যপ্রাপ্তির মাধ্যম নয়, বরং শিক্ষার বিস্তারে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এই ডিজিটাল উদ্যোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য উপকারী হবে এবং বিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে আরও সুদৃঢ় করবে।
এই বিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আসুন, আমরা সবাই মিলে এই প্রতিষ্ঠানকে আরও সমৃদ্ধ ও গৌরবান্বিত করে তুলি।
চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, গাইবান্ধা।